সংঘর্ষের পর সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
ফেনীর সোনাগাজী পৌর শহরে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষে আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ২০-৩০ জন নেতা-কর্মী। এরপর রাতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। শিগগিরই এ ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম বলেন, নতুন কমিটি গঠনে দ্রুতই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১ মে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও দীর্ঘ তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। এ বিষয়ে ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর দুপুরে সোনাগাজী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান ও মো. রায়হানের ওপর হামলা হয়। তাঁরা দুজন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একটি অংশের নেতা-কর্মীরা গত মঙ্গলবার পৌর শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ ঘটনায় করা মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিনকে আসামি করা হয়।
এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। সংঘর্ষে অন্তত ২০-৩০ জন ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও পথচারীরা আহত হন। আহত ব্যক্তিদের সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুরো শহরে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।