সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ফজলে রাব্বী (২২) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মো. শাহ আলম নামের রাব্বীর এক বন্ধু আহত হয়েছেন।
নিহত রাব্বী একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলে জানান সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি মজলিস এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অপরাধীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত। গতকাল রাত ১০টার দিকে রাব্বীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয়ভাবে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত শাহ আলম। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী অন্তর ওরফে অন্তু, শান্ত ও মিন্টুর নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয়জনের একটি দল রাব্বী ও শাহ আলমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা উভয়কে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাব্বীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শাহ আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে রাব্বী ও অন্তর একসঙ্গে এলাকাটিতে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও পাওনা টাকা নিয়ে অন্তর ও রাব্বীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরেই রাব্বীকে খুন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, কয়েক বছর ধরে রাব্বী ও অন্তর একসঙ্গে এলাকাটিতে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও পাওনা টাকা নিয়ে অন্তর ও রাব্বীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরেই রাব্বীকে খুন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাব্বীর মা শাহানারা বেগম বলেন, ওই রাতে শাহ আলম তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁরা খবর পান, রাব্বীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হাসপাতালে এসে তিনি রাব্বীর লাশ দেখতে পান। রাব্বীর মায়ের দাবি, মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
আহত শাহ আলম বলেন, গতকাল রাতে রাব্বীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি মজলিস এলাকায় গেলে র্যাবের গোলাগুলিতে নিহত গিট্টু হৃদয়ের সহযোগী অন্তরের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁদের কুপিয়ে পালিয়ে যান।
রাব্বীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।