গাইবান্ধায় সাবেক এমপিসহ ৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবির
ছবি: সংগৃহীত

জেলা যুবদলের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় গাইবান্ধায় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবির এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৯৮ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার সদর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি।

আরও পড়ুন

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মুস্তাফিজ, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার শাহীদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মো. সাঈদ হোসেন, গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ জুলাই বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের সার্কুলার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের দক্ষিণ কোণে অবস্থিত জেলা যুবদলের কার্যালয় প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালান। তাঁরা যুবদলের কার্যালয়ের তালাসহ দরজা–জানালা ভেঙে ভেতরের আসবাব ভাঙচুর করেন। পরে কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং পেট্রল ঢেলে আসবাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বগুড়ায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ায় শহর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় আরেকটি মামলা হয়েছে। বগুড়া শহর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আসিফ আশরাফ বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলমকে (মোহন)। এ ছাড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভাশিস পোদ্দার এবং শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খানের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ১৫০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।