রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে মেয়রের বর্তমান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে গতকাল রোববার বিকেলে তিনি নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করেন।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার বিষয়টি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ (সিটি করপোরেশন-২)। এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ২১ মে বিকেলে পদত্যাগ করেছেন। সরকার তাঁর পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করেছে।
আরেকটি অফিস আদেশে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিনকে নতুন মেয়র আসার আগপর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সব প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
শেষ কর্মদিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগর ভবনের মেয়রের কক্ষে সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদায়ী সভা করেন খায়রুজ্জামান লিটন। পরে রাত ৯টার দিকে তিনি নগর ভবন থেকে বের হয়ে যান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মো. মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন প্রমুখ।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের দায়িত্ব নেন। পদত্যাগের আগে খায়রুজ্জামান লিটন সিটি করপোরেশনের রাজস্ব খাতের তহবিলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখেছেন বলে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে লড়বেন।