পঞ্চগড়ে জলসা নিয়ে বাড়িঘরে হামলার পর আজ পরিস্থিতি শান্ত, টহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

পরিস্থিতি স্বাভাবিক। টহলে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পঞ্চগড় শহরে
ছবি: প্রথম আলো

পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আজ শুক্রবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আজ জেলা শহরজুড়ে এবং আহম্মদনগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে তেঁতুলিয়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় শাখাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। পরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম সিরাজুল হুদা আজ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের সঙ্গে র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা জেলা শহরসহ আহম্মদনগর এলাকায় টহল দিচ্ছেন। তবে আজ শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের পরের সময়ে কী হয়, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

আজ বেলা ১১টার দিকে আহম্মদনগর এলাকা ঘুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। পরিস্থিতিও স্বাভাবিক চোখে পড়েছে।

পুলিশ ও সংগঠনগুলো সূত্রে জানা যায়, আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আগামী শুক্র, শনি ও রোববার সালানা জলসার আয়োজন করা হয়েছে। এ জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলদেশের পঞ্চগড় শাখা, সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদ, ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি, ইমাম-মোয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতি, পঞ্চগড় কওমি ওলামা পরিষদ ও জাতীয় ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের শত শত লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। পরে বেশ কিছু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন