ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলে ১০ কিলোমিটার যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৪ কিলোমিটার পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকে সরাইল উপজেলার বেড়তলা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় ও কুট্টাপাড়া মোড় হয়ে বাড়িউরা পর্যন্ত থেমে যানজট শুরু হয়। একপর্যায়ে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত এ পরিস্থিতি ছিল।
সড়ক ও জনপথ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কের কাজ করছিল ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যান। এর পর থেকে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে একদিকে ঢাকা-সিলেট ও অন্যদিকে চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বুধবার রাত আটটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বর এলাকার চারদিকে রয়েছে ছোট–বড় অসংখ্য গর্ত। এসব গর্ত অতিক্রম করতে পণ্যবাহী যানবাহনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এবং চট্টগ্রাম-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু থেমে থেমে যানজট লেগে যাচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লাসহ জেলার হাজারো যানবাহন।
পণ্যবাহী ট্রাকচালক মিজান মিয়া রাত আটটায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে সপ্তাহে একবার মাল নিয়া সিলেট যাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে আসলেই যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে অয়। এর কি কোনো সমাধান নাই?’
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মারগুব তৌহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বর এবং সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় মহাসড়কে গর্তের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিশ্বরোড মোড়ে মহাসড়কের ওপর রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। আমার এখানে জনবল ও যানবাহনের সংকটের কারণে ঠিকভাবে কাজ করতে পারছি না। একদিকে গেলে অন্যদিকে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’