রাজবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খানকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কুমড়াকান্দি গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শহিদুল ইসলাম খান গত ২১ মে অনুষ্ঠিত গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তিনি গোয়ালন্দ বাজারের ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির সভাপতি।

শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতেই তাঁকে রাজবাড়ী সদর থানায় আনা হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সদর উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৭০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে অন্যতম সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, তাঁর ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, ইরাদত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক কাজী রাকিবুল হোসেন, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী প্রমুখ। এই মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীর করা মামলার তদন্তে পাওয়া আসামি হিসেবে শহিদুল ইসলাম খানকে গতকাল বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত আটটার দিকে সদর থানার পুলিশ তাঁকে রাজবাড়ী নিয়ে যায়।