সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মায়ার বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ধারণা, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন ও ক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে মোহনপুর এলাকায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর তিনতলা ও দোতলা দুটি বাড়িতে কিছু দুর্বৃত্ত ও বিক্ষুব্ধ লোকজন ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। দুটি বাড়ির দরজা, জানালা, আসবাবপত্রসহ আরও কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কিছু মালামাল লুট করে ট্রাক দিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তিনতলা ও দোতলা বাড়ির নিচতলায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বাড়ি দুটির নিচতলার প্রায় সব কক্ষ ও জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। বাড়ি দুটির পেছনে কয়েকটি টিনের ঘরেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ সময় দুটি বাড়িতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য ছিলেন না। তবে টিনের ঘরে মোফাজ্জল হোসেনের দু-একজন স্বজন ছিলেন। তাঁরা অক্ষত আছেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর চাচাতো ভাই মো. টিপু বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারবেন না। তবে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এবং সংক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। আওয়ামী লীগের ক্ষতিগ্রস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত একটি পক্ষও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছেন, তা সঠিকভাবে কেউ জানেন না।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর এক স্বজন মামলা করবেন বলে জেনেছেন। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।