বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মানুষ অপ্রয়োজনীয় কারণে দৃষ্টিহীন হিসেবে বাস করছে। ৯০ শতাংশ দৃষ্টিহীনতাই চিকিৎসাযোগ্য বা প্রতিরোধযোগ্য। দৃষ্টিহীন মানুষের ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বসবাস করে। ফলে দৃষ্টিহীনতা মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ, যথাযথ প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা দরকার।
আজ রোববার বিকেলে অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ইমরান সেমিনার হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা নিয়েছেন। পাশাপাশি বাস্তবায়ন করছেন। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়েছেন। বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। চক্ষুরোগ নিয়ে চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় তিনি অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটালকে ধন্যবাদ জানান।
আয়োজকেরা জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের (সিআইআইটিসি) সার্বিক সহযোগিতায় অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল বাংলাদেশে একাদশবারের মতো এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চমবারের মতো আগমন। আজ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২৮ নভেম্বর। সারা দেশ থেকে আসা চক্ষুবিশেষজ্ঞেরা হাতে-কলমে সার্জারি ও রোগীর যথাযথ সেবাবিষয়ক প্রশিক্ষণ নেবেন।
উদ্বোধনী আয়োজনে অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ডেরেক হডকি বলেন, মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে। সঠিক পরামর্শ ও সেবা দেওয়া গেলে এই সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে। অরবিসের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি সার্জারি হয়েছে।
সিআইআইটিসির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক রবিউল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল করোনার কারণে এত দিন এই দেশে আসতে পারেনি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময় প্রয়োজন। চক্ষু স্বাস্থ্যে যেসব নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে, অরবিস সেসব প্রযুক্তি এখানে পরিচয় করাবে। এতে দক্ষতা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুনির আহমেদ, হসপিটালের পরিচালক মরিস গ্যারি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল।