নোয়াখালীর চরে আটকা পড়ল জীবিত তিমি, এরপর যা ঘটল
নতুন চরের পলিতে খাবি খাচ্ছে বিশাল আকৃতির তিমি। মাছ ধরতে আসা এক জেলে হঠাৎ দেখতে পায় আটকে থাকা তিমিটিকে। পরে তিনি স্থানীয় অন্যান্য জেলেদের ডেকে তিমিটিকে টেনে নিয়ে নদীর পানিতে ছেড়ে দেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়নের চর আতাউর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলেদের একজন ঘটনাটির ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরের দিকে জোয়ারের পানির সঙ্গে বিশাল আকৃতির একটি তিমি হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডের কয়েক কিলোমিটার দূরে জেগে ওঠা চর আতাউরের পলিতে আটকা পড়ে। পরের দুপুরের দিকে একদল জেলে ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে দূর থেকে বড় কিছু একটা আটকা পড়েছে দেখতে পান। পরে জেলেরা তিমির লেজের দিকে ও মাথার দিকে দড়ি বেঁধে টেনে মাছটিকে নদীর পানিতে ছেড়ে দেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ এলাকাতেও একটি তিমি নতুন চরের পলিতে আটকা পড়েছিল বলে শুনেছেন। এরপর আর কখনো এ রকম ঘটনা ঘটেনি। আজ ভোরে জোয়ারের পানির সঙ্গে ওই তিমি মাছটি চর আতাউরে আটকা পড়ে। চরের পলিতে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকা থাকলেও প্রাণীটি জীবিত ছিল। দুপুরের দিকে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের নজরে পড়লে তারা অনেক কষ্টে সেটিকে নদীতে টেনে নামিয়ে ছেড়ে দেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান মেঘনার চর আতাউরের পলিতে তিমি মাছ আটকা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ দুপুরে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খাবারের খোঁজে তিমিটি গভীর সমুদ্র থেকে নদীতে চলে এসেছে। এরপর জোয়ারের পানির তোড়ে সেটি নদীতে জেগে ওঠা নতুন চরের পলিতে আটকা পড়ে। এরই মধ্যে ভাটা শুরু হওয়ায় আর নদীতে নামতে পারেনি তিমিটি। আটকে পড়া তিমিটিকে স্থানীয় জেলেরা নদীতে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে সেটি কোনো প্রজাতির তিমি সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।