কয়রায় সাড়ে ছয় কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তারপ্রতীকী ছবি

গহিন সুন্দরবনে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের সাড়ে ছয় কেজি মাংসসহ আলমগীর মোড়ল (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন খুলনার কয়রা কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গোলখালী গ্রামের সরকারি পুকুরের পাড় থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ।

বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, সুন্দরবন থেকে চোরা শিকারিরা হরিণ শিকার করে কয়রার গোলখালী সরকারি পুকুর পাড় এলাকায় বিক্রি করছেন। এরপর কোস্টগার্ডের সঙ্গে তাঁরা যৌথ অভিযানে নেমে সেখান থেকে মাংসসহ আলমগীর মোড়ল নামের এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেন।

শুক্রবার বিকেলে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি সাদা ব্যাগে হরিণের মাংস রাখা। আদালত ভবনের পেছনে গর্ত খুঁড়ছেন এক ব্যক্তি। তিনি জানালেন, হরিণের মাংসগুলো এই গর্তে পুঁতে ফেলা হবে। পাশে কয়েকজন বনরক্ষী দাঁড়ানো। একজন বনরক্ষীর হাতে প্লাস্টিকের কৌটায় দুই টুকরা মাংস। ওই বনরক্ষী জানালেন মাংসের টুকরা ফরেনসিক টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।

কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একটি হরিণে অন্তত ২৫ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত মাংস হয়। আমরা মাত্র সাড়ে ছয় কেজি মাংস উদ্ধার করেছি। বাকি মাংসের ক্রেতা কারা, মূল শিকারি কারা, আমরা এগুলো বের করার চেষ্টা করছি। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে হরিণের মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।’