কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী পথে তিন মাস পর ফেরি চলাচল শুরু
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে তিন মাস পর আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে চিলমারীর রমনা নৌবন্দর থেকে রৌমারীর উদ্দেশে সাতটি পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে কদম নামে একটি ফেরি যাত্রা করেছে। রৌমারী ফেরিঘাটের কাছে ভেঙে যাওয়া সেতু এলাকায় বিকল্প পথ (ডাইভারশন রোড) নির্মাণ হওয়ার ২০ দিন পর চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে আবার ফেরি চলাচল শুরু হলো।
চিলমারী ফেরিঘাট টার্মিনালের সুপারিনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেন বলেন, এপ্রিল মাসের শুরুর দিকেই রৌমারী ফেরিঘাটের কাছে ভেঙে যাওয়া সেতু এলাকায় যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প পথ তৈরি করা হয়েছিল। বিকল্প পথ হলেও যানবাহন না আসায় এত দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ঈদের পর স্থলবন্দর চালু হওয়ায় আজ প্রথম এই নৌপথে মালবাহী সাতটি ট্রাক এসেছে। সেগুলো নিয়ে ফেরি কদম সকালে যাত্রা করেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি রৌমারী উপজেলা ফেরিঘাটের পাশে কুটিরচর এলাকায় একটি পুরোনো সেতু ভেঙে যায়। ফলে এই পথে ভারী যানবাহন যাতায়াত করতে না পারায় চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে এই নৌরুটে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকেরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. মাহফুজ উল আলম বলেন, রৌমারী-চিলমারী নৌরুটে কুঞ্জলতা ও কদম নামে দুটি ফেরি চলাচল করে। জানুয়ারি মাসে রৌমারী ফেরিঘাট এলাকায় একটু ছোট সেতু ভেঙে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভেঙে যাওয়া সেতু এলাকায় বিকল্প পথ তৈরি করা হয়। আজ সকাল থেকে এই পথে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ট্রাকচালক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি নিয়মিত চলাচল করলে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব অনেক কমে যায়। কিন্তু এই রুটে নাব্যতা–সংকটসহ নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রৌমারীতে ছোট একটি কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় তিন মাস থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। অথচ বাণিজ্যিক সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে ওই কালভার্ট এলাকায় একটি বেইলি ব্রিজ করে দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা যেত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটি করেনি। এ জন্য অনেক চালক এই পথ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন।
ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার আজ ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টি অনেক চালকই জানেন না। এ জন্য এই পথে কোনো ট্রাক আসে না। নিয়মিত ফেরি চালু রাখলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও ট্রাকের ভিড় বেড়ে যাবে।