নাটোরে হেলমেট বাহিনীর হামলায় প্রাণের ব্যবস্থাপক আহত, মামলা

মারধর
প্রতীকী ছবি

হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তরা নাটোরে প্রাণ কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহসিন আলীকে হাতুড়ি, রড ও স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। গতকাল শনিবার সকালে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া টাওয়ার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কর্তৃপক্ষ আজ রোববার রাত আটটায় এ ঘটনায় মামলা করেছে সদর থানায়।

গুরুতর আহত ব্যবস্থাপক মোহসিন আলীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে মাঠে নেমেছে। মোহসিন আলী কাফুরিয়া এলাকার মো. শাহাদত হোসেনের ছেলে।

নাটোর সদর থানা ও প্রাণ কোম্পানির নাটোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মোহসিন আলী মোটরসাইকেল চালিয়ে কাফুরিয়ার প্রাণের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পথে কাফুরিয়া টাওয়ার মোড়ে পৌঁছালে পাঁচ–সাতজন হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্ত হাতুড়ি, রড ও স্টাম্প নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা করে। পরে একজন ভ্যানচালক তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে আমজাদ খান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আমজাদ খান মেমোরিয়াল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা রায়হান কবির বলেন, মোহসিন আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাত-পা ভেঙেছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখানে এক্স-রে করা হয়নি।

এ ঘটনায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষে হাসেম আলী নামের এক কর্মকর্তা আজ রাত আটটার দিকে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হলেও পুলিশ তদন্তের স্বার্থে পরিচয় প্রকাশ করেনি। প্রতিষ্ঠানটির আইনবিষয়ক কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, কী কারণে তাঁদের ব্যবস্থাপকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আহত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তাঁরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগটিতে কিছু ত্রুটি ছিল। পরে তা ঠিক করে মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। বাদী চারজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তবে প্রাথমিক তদন্ত না করে বলা যাবে না, কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে যারাই এ ঘটনা ঘটাক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।