তিস্তায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৮
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে একটি যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আটজন নিখোঁজ আছেন। এ ঘটনায় তিস্তা নদী থেকে জীবিত ১৮ জন এবং মৃত একজনকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় বজরা ইউনিয়নের খামার ধামারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন তিস্তা খেয়াপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম বজরা খামার ধামারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছের খেয়াঘাট এলাকা থেকে খামার ধামারহাট এলাকার জয়নাল আবেদীনের পরিবার ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন মিলে ২৬ জন একটি নৌকায় ওঠেন। তাঁরা তিস্তার ওপারে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় আলীবাবা থিম পার্ক এলাকায় জয়নাল আবেদীনের ছেলের শ্বশুরবাড়িতে ঈদ–পরবর্তী দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন; কিন্তু নৌকাটি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছুদূরের মধ্যেই তিস্তার প্রবল স্রোতে উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। এ সময় কয়েকজন সাঁতরে এবং কয়েকজনকে স্থানীয় লোকজন নৌকায় করে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারে নামে। এ সময় নদী থেকে উদ্ধার নয়জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং দুই বছরের এক শিশুর মৃত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই শিশুর নাম আয়শা (২)। সে উলিপুরের খামার ধামারহাট আজিজুর রহমানের মেয়ে। এ ছাড়া ওই নৌকাডুবির ঘটনায় জয়নাল আবেদীনের ভাগনে আনিছুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজনসহ অন্তত আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মী মাহমুদুল হাসান বলেন, সন্ধ্যার দিকে খামার বজরা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পরিবারের ২৬ জন সদস্য ওপারে পীরগাছা উপজেলায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় বাসদিন্দা ও নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার যাত্রীদের মাধ্যমে জানা গেছে নৌকায় ২৬ জন যাত্রী ছিলেন। নদী থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জন জীবিত ও একজন মৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। অন্তত আটজন যাত্রী নিখোঁজ আছেন। আমরা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’