গাইবান্ধায় সাবেক হুইপ, সংসদ সদস্যসহ ৩৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধায় জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ, সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৩৬৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আজ সোমবার সদর থানায় মামলা হয়েছে। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই মামলা করা হয়। গাইবান্ধা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবদুল হাই বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ, গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম, গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারোয়ার কবির, গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর জামান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৪ আগস্ট বিকেলে জেলা শহরের সার্কুলার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালান। হামলাকারীরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা, দরজা-জানালা, ভেতরের চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করেন। পরে কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং ভাঙচুর করা আসবাব বাইরে বের করে সেগুলোতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অনেক ক্ষতি হয়।
আজ বিকেল পৌনে পাঁচটায় মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা। তিনি মুঠোফোনে বলেন, এই মামলায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া মামলায় আসামি করা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদেরও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।