জয়া-বাইডেনের সংসারে নতুন তিন অতিথি
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার সংসারে তিন বাঘশাবকের জন্ম হয়েছে। নবজাতকদের বাবা জো বাইডেন জন্মের পরপরই ময়ের অবহেলার শিকার হয়। মায়ের দুধ পায়নি সে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের পরম যত্নে বেড়ে উঠেছে বাঘটি। বাইডেন বাবা হওয়ায় এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাই ভীষণ খুশি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঘিনী জয়া এই তিন শাবক প্রসব করে। তিনটিই হলুদ ডোরাকাটা।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গত আট বছরে ১৯টি বাঘের জন্ম হলো। এর মধ্যে দুটি ঢাকা চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়। বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১৭। এর মধ্যে পাঁচটি সাদা বাঘ রয়েছে। চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা রাজ-পরী নামের এক জোড়া বাঘের বংশবিস্তারের মধ্য দিয়ে বাঘের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
রাজ-পরীর ঘরে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া বাঘটির নাম রাখা হয়েছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামে। জন্মের পর মা পরী বাইডেনকে দুধ দিত না। অবহেলা করত। পরে চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহদাত হোসেন ও অন্যদের যত্নে বাইডেন আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে জয়ার জন্ম হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। বাইডেন বড় হওয়ার পর জয়ার সঙ্গে তাকে একই খাঁচায় রাখা হয়। এরপর শুক্রবার তাদের ঘরে আসে তিনটি শাবক। তিনটিই এখন মায়ের সঙ্গে আছে। এখনই তিনটি শাবকের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।
ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহদাত হোসেন বলেন, সপ্তাহখানেক পর বোঝা যাবে তিনটি বাঘ কোন লিঙ্গের। তিনটি শাবকই হলুদ ডোরাকাটা। একটি বাঘের জোড়া থেকেই মূলত বংশবৃদ্ধি করতে করতে ১৯ বাঘ হলো। তার মধ্যে দুটি জাতীয় চিড়িয়াখানায় দিয়ে দেওয়া হয়। বিনিময়ে ঢাকা থেকে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
১৯৮৯ সালে যাত্রা করা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৭০ প্রজাতির ৫২০টি পশুপাখি রয়েছে।