বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে জয় পেলেন নৌকার প্রার্থী রাগেবুল
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান ওরফে রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট।
আজ বুধবার রাত সোয়া নয়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফলাফল কেন্দ্র থেকে নৌকার প্রার্থী রাগেবুলকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট। তবে তিনি বগুড়া-৪ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে আট শতাধিক ভোটে হেরেছেন।
এর আগে বগুড়া–৬ আসনের উপনির্বাচনে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। বগুড়া–৬ আসনে আওয়ামী লীগ, জাপা, জাসদসহ ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আসনটিতে ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ ভোটারের মধ্যে ৯১ হাজার ৭৪২ জন ভোট প্রদান করেন। ভোট পড়েছে ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এই আসনে ভোট গ্রহণ চলাকালে দুপুরের আগেই নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ১৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৫টি দখলের অভিযোগ তোলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল মান্নান আকন্দ। তিনি অভিযোগ করেন, ১৩৫টি কেন্দ্র দখল করে ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। নৌকার লোকজন গোপন বুথে ঢুকে নিজেরাই ইভিএম চেপে ভোট নিয়েছেন। অনেক কেন্দ্রে নৌকার সমর্থক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুললেও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি আবদুল মান্নান। দুপুরে তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা ফোন ধরছেন না। নির্বাচন কমিশন কোনো অভিযোগ নিচ্ছে না। এই রাষ্ট্রের কার কাছে বিচার চাইব। ভোট ডাকাতির বিচারের ভার জনগণের কাছেই ছেড়ে দিলাম।’
দুপুরে কেন্দ্র দখলের একই অভিযোগ তেলেন আপেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদার রহমানও। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমপক্ষে ৩০টি কেন্দ্র থেকে আপেল প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। নৌকার সমর্থক ছাড়া কোনো ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি।’
কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম এবং একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমও।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেউ কোনো ভোটকক্ষ থেকে কাউকে বের করে দেননি।