ঘোড়াদিঘি পাড়ের শতাধিক গাছ কেটে ফেলল কারা
ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ লাগোয়া ঘোড়াদিঘি পাড়ে লাগানো শতাধিক নারকেল, শজনে ও পেঁপেগাছ উপড়ে ও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা দিঘিটির পাড়ে লাগানো ওই গাছগুলো বিনষ্ট করে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বাগেরহাট সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
দিঘির সংরক্ষিত পুরাকীর্তি বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের অংশ। তিন বছর আগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এর পাড়ে ৫০টি নারকেল ও সম্প্রতি ৬১টি পেঁপে ও কিছু শজনেগাছ রোপণ করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ আজ বুধবার দুপুরে বলেন, ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ লাগোয়া ঘোড়াদিঘিটির আয়তন ৪০ একর। ১৫ শতকে মনোরম এই দিঘি খনন করেছিলেন হজরত খানজাহান (রহ.)। দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক নিয়মিত মসজিদ-দিঘিসহ খানজাহান (রহ.)–এর নির্মিত অনন্য সব পুরাকীর্তি দেখতে আসেন বাগেরহাটে। এখানে দিঘি ও এর পাড়ে বসে মুগ্ধ হন তাঁরা। মূলত সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই দিঘির চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল। নিয়মিত পরিচর্যায় নারকেলগাছগুলো বড় হতে শুরু করে, পেঁপেগাছে ফল ধরে। হঠাৎ গত সোমবার রাতে দিঘির দক্ষিণ পাড়ের নারকেল ও পেঁপেগাছগুলোকে কে বা কারা বিনষ্ট করেছে। এ ঘটনার আমাদের বিস্মিত করেছে।’
এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
কারা কেন এমন শত্রুতা দেখাল, বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান পুলিশ ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তারা ক্যাম্পাসে অবাধে যাতায়াত করতে চায়। তা না পারার জেরে রাতের আঁধারে দেয়াল টোপকে ভেতরে ঢুকে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’