কেশবপুরে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চেয়ারম্যান ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০

সংঘর্ষপ্রতীকী ছবি

যশোরের কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমর্থক ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

ওই সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সারুটিয়া গ্রামের ইব্রাহিম (২৪), নুর ইসলাম (৪৫), জালাল দফাদার (৫০), আড়ুয়া গ্রামের আফসার মোড়ল (৫০), সাইফুল্লাহ গাজী (২৫) তৌহিদ (২০), রিয়াজ (২৪) ও বেতিখোলা গ্রামের আবদুল হামিদ শেখকে (৫০) কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নুর ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চেয়ারম্যান এস এম মনজুর রহমান গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে ঢুকতে পারছিলেন না। বিএনপির কর্মী–সমর্থকেরা ইউপি কার্যালয়ে তালা দিয়ে রাখেন। তাঁরা চেয়ারম্যান মনজুরকে ইউনিয়ন পরিষদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর লোকজন নিয়ে কলাগাছী বাজারে অবস্থিত ইউপি কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় বিএনপির সমর্থকেরা তাঁকে ইউপি কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেন। একপর্যায়ে ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের কর্মী–সমর্থকেরা চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। সংঘর্ষ চলাকালে কলাগাছী বাজার ও বেতিখোলা বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।