দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫০

ভোলা জেলার মানচিত্র

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের জংশন বাজারে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দুই ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে লঞ্চযাত্রীসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিদের ভোলা, বরিশাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়ার কর্মী-সমর্থকেরা মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে মিছিল বের করে জংশনবাজার থেকে উত্তরে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় জমায়েত হন। এ সময় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোশারেফ হোসেনের আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে জংশন বাজার থেকে ফেরিঘাট এলাকায় গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মোটরসাইকেলের লোকজন আনারসের লোকজনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে লঞ্চযাত্রীসহ ৩০-৩৫ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এ খবর জেনে আনারসের সমর্থক স্থানীয় সালাউদ্দিন মেম্বার লোকজন নিয়ে মোটরসাইকেলের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এভাবে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫০ জন হয়েছেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি অটোরিকশা, আবুল হাজারীর একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ইলিশা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটনের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, আনারসের সমর্থক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, তাঁরা ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ জংশনবাজারে গেছেন প্রচারপত্রসহ গণসংযোগ করতে। এটি তাঁদের পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান আনোয়ারের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলের লোকজন তাঁদের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এ সময় লঞ্চযাত্রীসহ সাধারণ মানুষ ও তাঁদের ২৫-৩০ জন কর্মী আহত হন। পরে সালাউদ্দিন মেম্বারের লোকজন না এলে তাঁদের মেরেই ফেলত।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া (মোটরসাইকেল প্রতীক) আনারসের লোকজনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আনারসের লোকজনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ হামলা চালিয়েছেন। তাঁর সমর্থকদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে। ২০-২৫ জনকে আহত করেছে।

ভোলার এএসপি (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, পরিস্থিতি শান্ত। যে যার মতো সরে পড়েছে। মাঠ এখন পুলিশের দখলে। আহত কতজন জানেন না। তবে ১০-১২ জনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের খবর পেলেও মোটরসাইকেলটি খুঁজে পাননি।