কুড়িগ্রামে জাল ভোট দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আটক, ৫ বছরের কারাদণ্ড
কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দিতে গিয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী আটক হয়েছেন। পরে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে তাঁকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রোববার দুপুরে উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাট উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের কর্মীর নাম মাহাতাব হোসেন ওরফে রুদ্র (২২)। তিনি বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডের (নৌকা) পক্ষে আজ দুপুরে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাট উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দিতে যান ছাত্রলীগের কর্মী মাহাতাব হোসেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাহাতাব হোসেনকে সাজা দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকারের এক কর্মী বলেন, ছাত্রলীগের কর্মী মাহাতাব হোসেন ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে টেবিলের ওপর অস্ত্র রেখে জোর করে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার সময় এক তরুণকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাছ আলী সরকারসহ ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।