বালিয়াকান্দিতে প্রচার শেষে বাড়ি ফেরার পথে সমর্থককে পিটিয়ে জখম

হামলায় আহত ব্যক্তিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রচার শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। আহত ওই ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দক্ষিণবাড়ি গ্রামের দরগার পাশে হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ আলী আজম (৫৭)। তিনি আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থক ও নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম জীবন মিয়া। তিনি নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম আদাজের (আনারস প্রতীক) সঙ্গে লড়ছেন এহসানুল হাকিম ওরফে সাধন (মোটরসাইকেল প্রতীক)। আবুল কালাম আজাদ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অন্যদিকে এহসানুল হাকিম সাধন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই।

স্থানীয় নেতা–কর্মীরা জানান, এবারের উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় কোন্দলের কারণে ইতিমধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি হামলা, ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলার বিষয়ে সৈয়দ আলী আজম বলেন, ‘আমি আনারস মার্কার ভোট চেয়ে রামদিয়া ব্রিজ ঘাট এলাকায় থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম। দক্ষিণবাড়ী দরগার পাশে পৌঁছালে এহসানুল হাকিম সাধনের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জীবনের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা পেছন থেকে মোটরসাইকেলে এসে আমার মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয় ও আঘাত করে। আমি মাথা সরিয়ে নিলে মাথায় পেছনে কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ ছাড়া চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছি।’

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সজল কুমার সোম বলেন, তাঁকে (আজম) চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত রয়েছে। এতে সেলাই লেগেছে।

তবে পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জীবন মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না।’

অন্যদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করতে আবারও আমার কর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে। এর আগে আমার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। আমার কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি জানিয়ে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।