নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ ডিবির তৎকালীন এসআই মাহফুজুর রহমানের অস্ত্র হাতে গুলি করার এই ছবি ঘটনার পর আলোচিত হয়। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায়ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দুই বছর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার সময় গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমানকে (কনক) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমীন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শাওন হত্যা মামলায় এসআই মাহফুজুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে হাজির করা হয়। আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় র‌্যালি বের করার সময় যুবদল কর্মী শাওন বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহত শাওনের বড় ভাই মিলনকে বাদী করে পাঁচ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২১ অক্টোবর মিলন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, সাবেক এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমানসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১ নম্বর আসামি সাবেক এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল এবং ১৬ নম্বর আসামি করা হয় গুলি করা ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমানকে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তাঁর ভাই শাওনের মরদেহ পুলিশি পাহারায় দাফন করা হয়। জানাজায় পরিবার ও দলীয় নেতা–কর্মীদের অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। বাদীসহ পরিবারের লোকজনকে চাপ দিয়ে বিএনপির অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে বাধ্য করে। পরে দ্রুত চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়ে বাদীকে পুলিশ তুলে নিয়ে কোর্টে হাজির করে। চূড়ান্ত রিপোর্ট গৃহীত হলে আপত্তি নেই বলে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, এসআই মাহফুজুর রহমান বর্তমানে ঢাকায় এপিবিএনে কর্মরত। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন