কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হল কোথায়, দেখিয়ে দেবে যে সফটওয়্যার
২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা-২০২৪। ভর্তিযুদ্ধের আগে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকে অচেনা জায়গায় পরীক্ষার কক্ষ খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রের আওতায় থাকা পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে তৈরি করা হয়েছে একটি সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে গুগল ম্যাপের সাহায্যে পরীক্ষার হলের অবস্থান ও সেখানে যাওয়ার সহজ পথ দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
সফটওয়্যারটির নাম ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইনফরমেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তরুণ প্রকৌশলীরা নতুন ওই সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন। পরীক্ষার্থীরা নিজের রোল নম্বর দিয়ে অনলাইনে সার্চ করলেই পরীক্ষার হলের অবস্থান জানতে পারবেন। বুধবার কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের সভাকক্ষে সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
সফটওয়্যারটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের সম্পূর্ণ মানচিত্রকে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করেছে। পরীক্ষার্থীরা যখন সফটওয়্যারে রোল নম্বর দেবেন, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যারটি তাঁদের নির্ধারিত পরীক্ষার হলের অবস্থান খুঁজে বের করবে এবং গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার সহজ রাস্তা দেখিয়ে দেবে। এতে পরীক্ষার্থীদের সময় বাঁচবে এবং কক্ষ খুঁজে পাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে।
উদ্ভাবনী সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন বায়োইনফরমেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক হাওলাদার (তৃতীয় বর্ষ), মুহাম্মদ ইশমামুল হক (দ্বিতীয় বর্ষ) ও মো. আসিফুজ্জামান (প্রথম বর্ষ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনেই তাঁদের এই উদ্যোগ বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
সফটওয়্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. জয়নাল আবেদীন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্ল্যাহ, অধ্যাপক মো. রাকিব হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন এবং বায়োইনফরমেটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভাবনকে সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করে তরুণ প্রকৌশলীদের প্রশংসা করেছেন ডিন অধ্যাপক মো. জয়নাল আবেদীন। এটি প্রযুক্তির সাহায্যে শিক্ষার উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলেও জানান তিনি।
সফটওয়্যারটির ভবিষ্যৎ নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্ল্যাহ বলেন, ‘আপাতত এটি শুধু বাকৃবি কেন্দ্রের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যার আরও উন্নত করে ভবিষ্যতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও প্রয়োগ করার সুযোগ আছে।’