নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ দলটির ১৭৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০০–৫০০ জনকে। এ নিয়ে গত ২৭ আগস্টের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হলো।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিদোয়ান ভূঁইয়া বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় সর্বশেষ মামলাটি করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ঘটনার দিন বিনা কারণে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়।’ ঘটনাকালের ভিডিও চিত্র দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ নেতা রিদোয়ান ভূঁইয়ার করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মোতাহের হোসেনকে। এ এম মাহবুব উদ্দিন ছাড়াও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ, সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক ওরফে কামাল ও জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসানকে।
সর্বশেষ মামলা প্রসঙ্গে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সর্বশেষ দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হামলা, হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় চার আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন।
ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুই নেতা নিহত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৭ আগস্ট বিকেলে সোনাইমুড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। এই মিছিলে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট রাতে একটি এবং ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগের কর্মী আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলার একটিতে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জন এবং অন্যটিতে ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সোনাইমুড়ীতে ২৭ আগস্ট বিএনপির মিছিলে হামলা করেছিল আওয়ামী লীগ। একের পর এক মামলা দিয়ে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার মিশনে নেমেছে ক্ষমতাসীন দলটি।