ঘিওরে আনসার সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, সহকর্মী আটক
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলা আনসার ও ভিডিপির কার্যালয়ে সামনে থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরেক আনসার সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার এফতেখারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আনসার সদস্যের নাম মো. কুদ্দুস মিয়া (৪০)। তিনি উপাজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কার্যালয়ের গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জেলার দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। আটক আনসার সদস্যদের নাম মো. শাহিনুর ইসলাম (২৮) উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঘিওরের পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রামে। তবে তাঁরা দুজনই উপজেলা আনসার ও ভিডিপির কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন।
পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে একটি মোটরসাইকেল, জুতা ও প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পান স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হলে তাঁরা কাছে গিয়ে দেখেন সেখানে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দী রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। সকাল সাতটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর নিহত আনসার ও ভিডিপি সদস্য কুদ্দুস মিয়ার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবণী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ও র্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার এফতেখারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। আটক আনসার সদস্য কিছু তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে ঘিওর থানা-পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিয়োগে উৎকোচের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে আনসার সদস্য কুদ্দুস ও শাহিনুরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে কুদ্দুসকে ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আনসার সদস্য শাহিনুর ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহত ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে।