রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য সাতটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যাত্রী পরিবহনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সাতটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। এসব ট্রেনে মোট ৫ হাজার ৩৩৬ জন যাত্রী পরিবহন করা যাবে। ট্রেনগুলো সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছাবে। এসব ট্রেন ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারবে।
রাজশাহীতে আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। নগরে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে (বর্তমানে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে) এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ ট্রেন সেবায় সবচেয়ে বেশি আসন থাকবে সিরাজগঞ্জের ট্রেনে। সিরাজগঞ্জ থেকে ১ হাজার ৫০ জন যাত্রী এই জনসভায় আসতে পারবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ট্রেনটি দুবার যাত্রী পরিবহন করবে।
ট্রেনগুলোর মধ্যে জয়পুরহাট স্পেশাল ট্রেনটি জয়পুরহাট স্টেশন থেকে সকাল ৯টায় ছাড়বে। রাজশাহী পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে। নাটোর স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৯টায় নাটোর ছেড়ে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী পৌঁছাবে। ট্রেনটি ৭৩৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। সিরাজগঞ্জ স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ১০টায় ছেড়ে বেলা দেড়টায় রাজশাহীতে পৌঁছাবে। এর আসনসংখ্যা ১ হাজার ৫০টি। ট্রেনটি আবার সন্ধ্যা ছয়টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে। রহনপুর স্পেশাল ট্রেন বেলা সাড়ে ১১টায় ছাড়বে। রাজশাহী পৌঁছাবে বেলা ১টা ৫ মিনিটে। জনসভা শেষে ট্রেনটি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল ট্রেন দুবার যাত্রী পরিবহন করবে। প্রথমবার সকাল সাতটায় ছেড়ে সাড়ে আটটায় রাজশাহী পৌঁছাবে। আবার ৮টা ৫০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাবে। ফের সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে। সন্ধ্যা ছয়টায় ট্রেনটি আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এই ট্রেনের মোট আসন থাকবে ৪২৮টি।
রানীনগর স্পেশাল ট্রেনে সকাল সোয়া ১০টায় ছেড়ে বেলা পৌনে একটায় রাজশাহী পৌঁছাবে। আবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজশাহী ছেড়ে যাবে। এ ট্রেনে আসন ৭৬৮টি।
আড়ানী স্পেশাল ট্রেন দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে বেলা সোয়া একটায় রাজশাহী পৌঁছাবে। আবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় রাজশাহী ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া ঈশ্বরদী থেকে আরও একটি স্পেশাল ট্রেন যোগ হতে পারে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
বিশেষ ট্রেন চালু করার কারণে অন্যান্য নিয়মিত ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, রোববার কয়েকটি ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। শুধু মধুমতি ট্রেন একটু বিলম্ব হতে পারে। তা ছাড়া সব ট্রেন সময়মতো চলবে। বন্ধ ট্রেনগুলোর লোকোমোটিভ এই স্পেশাল ট্রেনে ব্যবহার করা হবে।
এত বগির ব্যবস্থা কীভাবে করা হয়েছে—জানতে চাইলে মহাব্যবস্থাপক বলেন, তাঁরা ১৫ দিন আগে ফরমাশ পেয়েছেন। তখন থেকে তাঁদের ওয়ার্কশপে মেরামতের অপেক্ষায় থাকা বগিগুলো ঠিক করেছেন। এগুলো সর্বোচ্চ ৫৫–৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে। তবে কোনোটিই নিয়মিত ট্রেনের মতো ৯০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, এই দূরত্বে ৬০ কিলোমিটার গতিই যথেষ্ট।