নাটোর স্টেশনে পূর্ণ যাত্রাবিরতি না দেওয়ায় ট্রেনে উঠতে পারেননি অর্ধশতাধিক যাত্রী

পূর্ণ যাত্রাবিরতি না দেওয়ায় ট্রেনে উঠতে পারেননি অনেক যাত্রী। এর প্রতিবাদে তাঁরা স্টেশনমাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। গতকাল বুধবার রাতে নাটোর রেলস্টেশনেছবি: প্রথম আলো

নাটোর রেলস্টেশনে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন পূর্ণ সময় যাত্রাবিরতি না দিয়ে ছেড়ে যাওয়ায় অন্তত ৫০ যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি। এ ছাড়া তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় ঘটনাটি ঘটেছে জেলা শহরের রেলস্টেশনে।

ওই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশনমাস্টারকে অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদ জানান। এ সম্পর্কে নাটোর রেলস্টেশনের মাস্টার (কর্তব্যরত) শামীম হোসেন জানান, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটির নাটোর স্টেশনে যাত্রাবিরতি তিন মিনিট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্রেনটি কেন ছেড়ে গেছে, তা তিনিও বুঝতে পারছেন না। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর লাইন ক্লিয়ার দেওয়া স্টেশনের দায়িত্ব। কিন্তু যাত্রী ক্লিয়ারেন্স দেওয়া ট্রেনের পরিচালকের দায়িত্ব। ঘটনাটি দুঃখজনক। খুলনা রুটে বিকল্প কোনো ট্রেন না থাকায় তাঁর পক্ষে যাত্রীদের পৌঁছে দিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কয়েকজন ভুক্তভোগী যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ১ ঘণ্টা দেরিতে গতকাল রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে নাটোর রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। এখানে ট্রেনটির যাত্রাবিরতি ছিল তিন মিনিট। সেই হিসাবে ১২টা ২ মিনিটে ট্রেনটির নাটোর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকে এক মিনিটেরও কম সময় যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হন। এ অবস্থায় অপেক্ষমাণ অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্টেশনমাস্টারের কক্ষের সামনে গিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন যাত্রীরা। তবে স্টেশনমাস্টার ওই ব্যাপারে যাত্রীদের কোনো জবাব দিতে পারেননি। পরে যাত্রীরা বাড়ি ফিরে যান।

আসাদুজ্জামান নামের এক যাত্রী বলেন, তাঁরা পরিবারের ১৪ সদস্যকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট করেছিলেন। পূর্ণ সময় ট্রেনটি স্টেশনে না থামার কারণে তাঁরা কেউ ট্রেনে উঠতে পারেননি। তাঁদের ১৪টি টিকিটের টাকা ও সময় নষ্ট হয়ে গেল।

আবদুল হামিদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, তিনি যশোরে যাওয়ার জন্য স্টেশনে এসেছিলেন। কিন্তু ট্রেনে উঠতে পারেননি। ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে তিন মিনিট দাঁড়ানোর কথা; কিন্তু এক মিনিটও থেমে থাকেনি। বিষয়টি ট্রেনের পরিচালক খেয়াল করেননি। এটা গুরুতর কর্তব্যে অবহেলা। এর বিচার হওয়া দরকার এবং যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।