ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর মরদেহ, অন্য ঘরে আড়ায় ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ

হত্যা
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যা করার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ওই দম্পতি হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুল জলিল (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৬)।

প্রতিবেশী মাহমুদা খাতুন জানান, আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে আবদুল জলিল ও ফাতেমা বেগম দম্পতির মধ্যে তীব্র বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আবদুল জলিল তাঁর স্ত্রী ফাতেমাকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী মারা যান। স্ত্রীর মরদেহ ঘরের মধ্যে রেখে তিনি বাড়ির পাশে বাজারে যান। আধা ঘণ্টা পর বাজার থেকে বাড়ি ফিরে আবদুল জলিলও একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক সুশান্ত ঘোষ জানান, ফাতেমা খাতুন ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আজ বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফাতেমার সঙ্গে তাঁর স্বামীর টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে আবদুল জলিল ফাতেমাকে মারধর করলে তিনি মারা যান। পরে আবদুল জলিল ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সন্ধ্যায় আবদুল জলিলের মা সখিনা খাতুন বাড়িতে গিয়ে দেখেন, এক ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে পুত্রবধূর মরদেহ। অন্য ঘরে আড়ায় ঝুলছে ছেলের মরদেহ। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।