কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার শালবাগান-২৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে থাকেন মিয়ানমারের নাগরিক মো. নুর রশিদ (২৫)। আশ্রয়শিবির থেকে বের হওয়ার বিধিনিষেধ থাকলেও তিনি মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনা-নেওয়া করতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাফ নদীর হ্নীলা এলাকা দিয়ে কাঠের নৌকায় সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢোকার পর এক লাখ ইয়াবা, একটি এলজি বন্দুকসহ বিজিবির হাতে আটক হন তিনি। এ সময় তাঁর দুই সহযোগী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবির সদস্যরা গতকাল রাতে জানতে পারেন হ্নীলার আনোয়ার মৎস্য খামার এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে টহল দল সেখানে অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে তিন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকায় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকতে দেখেন বিজিবির টহল দলের সদস্যরা। নৌকাটি নাফ নদীর তীরে এলে টহল দল তাঁদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় থাকা দুই ব্যক্তি নাফ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যান। তবে নৌকায় থাকা রোহিঙ্গা নুর রশিদকে আটক করতে সক্ষম হন বিজিবির সদস্যরা।
নৌকাটিতে তল্লাশি করে দুটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি, একটি এলজি বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি জব্দ করা হয় কাঠের নৌকাটিও।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আটক নুর রশিদ রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করছেন। মাদক মামলা দায়েরের পর তাঁকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।