টাকা দিলে মিলছে চুরি যাওয়া বিদ্যুতের মিটার, উদ্বিগ্ন গ্রাহকেরা

বিদ্যুত মিটারপ্রতীকী ছবি

রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুতের মিটার। সকালে গ্রাহক মিটারের স্থানে পাচ্ছেন চিরকুট, যেখানে বিকাশ নম্বর ও টাকার পরিমাণ লেখা। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে টাকা পাঠালেই ফেরত দেওয়া হচ্ছে মিটার। রাজশাহীর বাগমারায় এমন চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে। গত দুই মাসে উপজেলার ২৫ জন গ্রাহকের মিটার চুরির তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন গ্রাহক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি মিটারের দাম ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা। তবে চোর চক্রটি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা নিয়ে মিটারগুলো ফেরত দেয়। টাকা দিলে তারা জানিয়ে দেয় কোন জায়গায় রেখেছে মিটার। কোনো গ্রাহকের বাড়ির খড়ের গাদায়ই রেখে যায় তারা।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর বাগমারা আঞ্চলিক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের বীরকুৎসা ও শান্তিপুর এলাকা থেকে চারটি মিটার চুরি হয়। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে। দরদাম করে চাহিদার টাকা পরিশোধের পর নির্দিষ্ট স্থানে রেখে যাওয়া হচ্ছে চুরি যাওয়া মিটার। ঝামেলা এড়াতে পুলিশকে না জানিয়ে টাকা দিয়ে চুরি হওয়া মিটার ফেরত নিচ্ছেন গ্রাহকেরা।

গোপীনাথপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার, বনগ্রামের আফজাল হোসেন জানান, তাঁদের সেচপাম্প ও রাইস মিলের মিটার গত শনিবার রাতে চুরি হয়েছে। মিটারের স্থানে পাওয়া একটি বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের পরামর্শে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাদেপাড়া গ্রামের এক গ্রাহক জানান, সেচপাম্পের মিটার চুরি হওয়ার পর চোরের রেখে যাওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে চোরকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে একটি খড়ের পালার ভেতর থেকে মিটার উদ্ধার করেছেন।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর বাগমারা আঞ্চলিক দপ্তরের মহাব্যবস্থাপক মোস্তফা আমিনুর রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই মাস ধরে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহকদের অনেকে চোরকে টাকা দিয়ে মিটার উদ্ধার করেছে। বিষয়টি গত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, চোরদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।