ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ছাত্রলীগ। আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্সি কামরুল হাসানকে। আরও দুই সহসভাপতি বনি আমিন ও রাকিবুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি নিয়ে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। রোববার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে ছাত্রলীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি হলে একজন শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়। শিক্ষার্থী পরিচয়টিই মুখ্য। তিনি আবাসিক হলের কোথায় থাকবেন না থাকবেন, এটি হল প্রশাসনের নির্ধারণ করার বিষয়। এটি ছাত্ররাজনীতির সিলেবাসের আওতাভুক্ত কোনো বিষয় নয়। ছাত্রলীগসহ যেকোনো ছাত্রসংগঠনের কর্মীকেই শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিস্বাধীনতা, পছন্দের স্বাধীনতা, আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে হবে।’
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘শারীরিকভাবে দূরের কথা, মানসিকভাবেও কেউ যদি হেনস্তা করে থাকে, সেটিকে আমরা অপরাধ মনে করি। এটি ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো কর্মী যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হন, তাহলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’