নির্বাচন কমিশনারের পরিচয় দিয়ে ফোন করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক কাউন্সিলর প্রার্থী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। একই অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও থানায় জিডি করা হয়েছে। পরে জানা গেছে, এটি একটি প্রতারক চক্র। গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এবারের নির্বাচনের প্রার্থী আরমান আলী এই অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে আরমান আলী বলেছেন, এক নির্বাচন কমিশনারের পরিচয় দিয়ে ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে তাঁর ছবি ব্যবহার করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে আরমান আলীর মুঠোফোন নম্বরে কল আসে। এ সময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন কথাবার্তা বলা হয়। সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে আরেকটি নম্বর থেকে ফোন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। কথা না বললে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সকাল ৮টা ২৯ মিনিট, ৮টা ৩৮ মিনিট ও বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে পুনরায় ফোন করলে আরমান আলী ফোন ধরেননি। তিনি বুঝতে পারেন, এটি একটি প্রতারক চক্র। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তিনি থানায় জিডি করেন।
মুঠোফোনটি আরমান আলী নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেনকে ধরিয়ে দিলে ওই প্রতারক চক্র বুঝতে না পেরে একপর্যায়ে জানায়, তাঁরা ২৬ জন দলে আছেন। তাঁরা খাওয়াদাওয়ার জন্য টাকা চেয়ে বসেন। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে প্রতারকেরা কক্সবাজার থেকে এই সব করছেন।
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, একজন নির্বাচন কমিশনারের ছবি ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে একটি চক্র নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার কথা বলছে। তারা আসলে একটি প্রতারক চক্র। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, একটা প্রতারক চক্র নির্বাচন কমিশনার সেজে এই প্রতারণা শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সব কাউন্সিলর প্রার্থীকে সতর্ক থাকার জন্য তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।