বরগুনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন

বরগুনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়িতে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতেছবি: প্রথম আলো

বরগুনায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠ-টিনের জরাজীর্ণ ঘরের সামনে পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ চারজন অস্ত্রধারী পুলিশ বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন।

আরও পড়ুন

কালীবাড়ি সর্বজনীন দুর্গামন্দির সভাপতি তপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে নিহত ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ সুপার মহোদয় পুলিশ মোতায়েন করেছে। আগে আমাদের শঙ্কা থাকলেও হাইকোর্টের এই নির্দেশে আমরা শঙ্কামুক্ত। এতে আমরা এলাকাবাসী সন্তুষ্ট।’

বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল থেকে পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন পালায় ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

আরও পড়ুন

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এই পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে অবহিত করি। গতকাল উচ্চ আদালত পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিলে আমরা এক মৌখিক আদেশে ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করেছি।’

৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরীকে (১৪) এক বখাটের নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরের দিন সকালে ওই কিশোরীকে স্থানীয় পার্কে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (৩৭) ওই দিন রাতেই বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন। এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়ির পাশের ঝোপে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবেই বাদীকে হত্যা করা হয়েছে।