বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য হচ্ছেন নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার

নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার
ছবি; সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আজ শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার ছাড়া আর কেউ এই নির্বাচনে প্রার্থী থাকলেন না।

আরও পড়ুন

নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী দুজন হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে দুলাল এবং খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আলিম নিজামী।

ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হ‌ুমায়ূন কবির এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। আগামীকাল সকালের দিকে তিনি এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক তথ্য জানাবেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৫ জুন এই উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে আজ সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা হয়। সভায় ঝিনাইদহের সংসদ সদস্যরা, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের দুই প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিমসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সভার পরে নজরুল ইসলাম তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম। দলীয় কোনো চাপ নেই।’

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ২৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল ১৯ মে। আগামী ৫ জুন এই উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।