বাড়ি থেকে বের হওয়ার দুই দিন পর পুকুরে ভাসছিল স্কুলছাত্রের লাশ
দুই দিন আগে বাড়ি থেকে কিছু না বলে বের হয়ে যাওয়া কিশোর আবরার জাওয়াদের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের সাহেববাড়ির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবরার ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর জোড়াসেতু এলাকার কামরুল হাসানের একমাত্র ছেলে। কামরুল হাসান ভিয়েতনামপ্রবাসী।
পুলিশ জানায়, গেরদা গ্রামের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি মো. সোহেল সাহেববাড়ি পুকুরে বেলা আড়াইটার দিকে একটি লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবরাবের লাশ উদ্ধার করে।
আবরাবের চাচা মার্শাল টিটু জানান, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে কিছু না বলে বের হয়ে যায় আবরাব। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। গত সোমবার রাতে এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আবরাব ফরিদপুর শাহীন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আজ বিকেলে পুলিশ খবর দিলে আমরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করি।’
মার্শাল টিটু বলেন, ‘ ১০ নভেম্বর রাতে ফরিদপুর শহরতলির জোয়ারের মোড় এলাকায় স্থানীয় লোকজন আবরারকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করতে দেখে আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু সকালে আবার ছেড়ে দেন বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া ১১ নভেম্বর বিকেলে তাঁর (মার্শাল টিটু) মুঠোফোন নম্বরে ০১৩৩৩১১৭২৩০ নম্বর থেকে কল করে আবরার অ্যাকসিডেন্ট করে মানিকগঞ্জ হাসপাতালে আছে বলে পুলিশ পরিচয়ে সাত হাজার টাকা চায়। ওই টাকা তাৎক্ষণিক নগদের নম্বরে পাঠানো হয়। পরে সেই নম্বর প্রতারক চক্র বন্ধ করে দেয়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল জানান, আবরার জাওয়াদ নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। দুপুরে খবর পেয়ে সাহেববাড়ি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।