ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ হারালেন কলেজছাত্রী ইমতেহান
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইমতেহান সুলতানা (২৪)। সঙ্গে ছিল ছোট বোন আঁখি আক্তার। বাঁশখালীর চাম্বল বাজার এসে তাঁদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উল্টে যায়। আহত দুই বোনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ইমতেহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইমতেহান কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদারপাড়ার ফরিদ আলমের মেয়ে। তাঁর আহত ছোট বোন আঁখি আক্তারকে (১৭) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে বাকলিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
নিহত কলেজশিক্ষার্থী ইমতেহানের চাচাতো ভাই আবু ইউসুফ পাঁচলাইশ থানার পুলিশ সদস্য। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ১০ বছর আগে ইমতেহানের বাবা ফরিদ আলম মারা যাওয়ার পর সংসারে হাল ধরেন ইমতেহান। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ইমতেহান। তিনি চট্টগ্রাম মহিলা কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি কোরিয়ান ইপিজেডে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। কারণ, দুই ভাই ও এক বোন তাঁর ওপর নির্ভরশীল। ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন তিনি। সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে বাঁশখালী হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কুতুবদিয়া ফিরছিলেন ইমতেহান ও তাঁর ছোট বোন আঁখি। বাঁশখালীর চাম্বল বাজার এলাকায় দ্রুতগামী ওই অটোরিকশা অপর একটি অটোরিকশাকে অতিক্রম করতে গিয়ে উল্টে যায়। এতে গুরুতর আহত হন দুই বোন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক ইমতেহানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত আঁখি আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পরে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।