কালুখালীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয়টি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সাওরাইল ইউনিয়নের ঘাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পাশের কাওয়াখোলা গ্রামের কিছু যুবক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
সোমবার ছিল বিকয়া বাজারের হাটের দিন। ঘাটরা গ্রামের সোনাই মোল্লা ও সবুজ মোল্লা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিকয়া হাটের বাজার করতে আসেন। তাঁদের দেখতে পেয়ে কাওয়াখোলা গ্রামের কয়েকজন মারধর করেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হয়। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঘাটরা গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বিকয়া বাজারে এসে হামলা চালায়। কাওয়াখোলা গ্রামের লোকজন তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ভাঙা ইট ছোড়া হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল সালেহীন বলেন, ঘাটরা গ্রামের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে কাওয়াখোলা গ্রামের কয়েকজন ঘাটরা গ্রামের লোকজনকে মারধর করেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অতীশ দীপঙ্কর বলেন, হামলায় আহত দুজন বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। সন্ধ্যার পর থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আরও ১১ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। ছত্রভঙ্গ করতে ছয়টি গুলি ছোড়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে কোনো পক্ষ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।