রাজনীতির সঙ্গে ইসলাম ও ইমানের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দেশে শাসকের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমরা ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন চাই। যত দিন পর্যন্ত নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হবে, তত দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে রক্ত দিলেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।’
শনিবার বিকেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফুলবাড়ী শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামি সমাজভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘যাঁদের মধ্যে ইমান আছে, তাঁরা ইসলামের বাইরে কোনো রাজনীতি করতে পারেন না। রাজনীতির সঙ্গে ইসলাম ও ইমানের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। ভোটের মাধ্যমে ভোটারের ইমান থাকতেও পারে, আবার ইমান যেতেও পারে। আপনি যাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, তিনি ইসলাম ও নৈতিকতাবিরোধী কোনো কাজ করলে তাঁর জন্য ভোটারকে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই নেতা আরও বলেন, ‘ইসলামের বাইরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদিসহ অন্য বিধর্মীরা ইসলামি সংগঠনে সম্পৃক্ত হবে শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকার পাওয়ার আশায়। ইসলাম ব্যতিরেকে অন্য কোনো মত, পথ মানুষকে শান্তি ও মুক্তি দিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘লেনিন-কাল মার্ক্স, মাও সে–তুংয়ের উত্তরসূরিদের নয়, মদিনাওয়ালার উত্তরসূরিদের আমরা ক্ষমতায় বসাতে চাই। এ জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে মদিনাওয়ালার আইন ও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কর্তৃত্ব বাস্তবায়নে সবাইকে একত্র হতে হবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের ফুলবাড়ী উপজেলার সভাপতি রবিউল ইসলাম। এতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুনতাসির আহমদ, রংপুর মহানগরের সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান, দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।