সারের জন্য হাহাকারের মধ্যে নওগাঁয় মজুত করা ২৬০ বস্তা সার উদ্ধার

গুদামে থাকা সারের মধ্যে ২৬০ বস্তা ডিএপি সারের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারেননি অমল কুমার
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ২৬০ বস্তা সার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার সদর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব সার জব্দ করা হয়।

ওই এলাকার মেসার্স গোবিন্দ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী অমল কুমার খৈতান এসব সার মজুত করে রেখেছিলেন। তিনি মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের বিসিআইসি সারের ডিলার। অবৈধভাবে সার মজুতের দায়ে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেসার্স গোবিন্দ ট্রেডার্সের দুটি গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুটি গুদাম থেকে ২ হাজার ২৭০ বস্তা ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ৩৭০ বস্তা মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার পাওয়া যায়। গুদামে থাকা সারের মধ্যে ২৬০ বস্তা ডিএপি সারের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ওই ডিলার। পরে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ইউএনও বলেন, জব্দ করা সার উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। কেউ যেন অবৈধভাবে সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, এ জন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। ভবিষ্যতে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

চলতি আমন মৌসুমের শুরু থেকেই নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় সার নিয়ে বিশৃঙ্খলা চলছে। ডিলারের গুদামের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও সার না পেয়ে কৃষকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর নওগাঁর পোরশা উপজেলার শিশা বাজার এলাকা থেকে এক সারের ডিলারের গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ছয় হাজার বস্তা সার উদ্ধার করে প্রশাসন।