জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা, উদ্ধার ৩০ রোহিঙ্গা

সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় উদ্ধার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুরাছবি : প্রথম আলো।

মালয়েশিয়া পাচারের জন্য জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ১২টি শিশু। তারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার বিকেলের দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরীপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের বসতঘর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলের দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরীপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের বসতঘরে অভিযান চালানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে। তাঁর সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, দালাল চক্রের লোকজন ভালো চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দ্যেশে তাদের জড়ো করেছিল। পরে তাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছিল। প্রতিবছর শীত মৌসুমে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে দালাল চক্রের সদস্যরা। কখনো বড় ট্রলারে তুলে দিয়ে কয়েক দিন সাগরে ঘুরিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তাদের রেখে টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। এভাবে প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গারা প্রতারণা শিকার হচ্ছে।