রংপুরে দিনভর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, কঠোর নিরাপত্তা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হয়নি

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি নগরে টহল জোরদার করেছে। সোমবার রংপুর জিলা স্কুলের সামনেছবি: মঈনুল ইসলাম

রংপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়নি। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে নগরের জিলা স্কুল মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিল করার কথা ছিল। এ কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে রংপুর নগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করে। নগরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের গাড়ি টহল দেখা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিনভর মোতায়েন থাকতে দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়ায়।

সকাল ১০টা থেকে নগরের জিলা স্কুল মোড় থেকে পায়রা চত্বর হয়ে শাপলা চত্বর পর্যন্ত প্রধান সড়কে পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার জন্য সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই পাশের দোকান ও বিপণিবিতান সকালে খোলা হলেও এক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।

আদালত ও সরকারি-বেসরকারি অফিস থাকলেও নগরের পরিস্থিতি থমথমে ছিল। কাছারি বাজারসহ আদালত চত্বরের অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে বিকল্প পথে রাধাবল্লভ হয়ে চিড়িয়াখানার সামনে দিয়ে লোকজন চলাচল করেন। একই সঙ্গে কেরামতিয়া মসজিদ হয়ে কেরানীপাড়া হয়ে বিকল্প পথে চলাচল করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

নগরের বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, শিক্ষা অফিস, রাজস্ব অফিস, টেলিফোন ভবন ও প্রধান ডাকঘর এলাকা দিনভর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে ছিল। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন ব্যাংক কার্যালয়ের সামনেও পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা চোখে পড়ে। এতে লোকজনের চলাচলও সীমিত হয়ে যায়। বিকেল সোয়া পাঁচটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নগরে শিক্ষার্থীদের কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়নি।

আরও পড়ুন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, গোটা নগরে আজ সকাল থেকে দিনভর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাঁরা বিক্ষোভ-মিছিল কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে তাঁরা ভেবেচিন্তে কর্মসূচি দেবেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবু মারুফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জিলা স্কুলসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচি করার তথ্য ছিল তাঁদের কাছে। এ কারণে নগরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো বিক্ষোভ-মিছিল হয়নি।

আরও পড়ুন