গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে হতাশ হয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে তিনি নাগরিকদের নিরাশ করতে চান না। মনোনয়ন না পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, জনগণ চাইলে তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করবেন।
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। এখানে মেয়র পদে আজমত উল্লা, জাহাঙ্গীর আলমসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৭ নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
আজ শনিবার দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর দুপুরে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তেমন কোনো নেতা–কর্মী নেই। অল্প কয়েকজন তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁরা সবাই একরকম স্তব্ধ হয়ে বসে আছেন। অনেকেই বলছেন, এমনটা তাঁরা আশা করেননি।
ভেতরে গিয়ে দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি যেহেতু রাজনীতি করি, তাই জনগণ যা চায়, তা–ই করব। এলাকার নাগরিক ও ভোটার যদি চায়, তবে আমি তাদের নিরাশ করব না। তারা চাইলে আমি নির্বাচন করব।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি সারা জীবন রাজনীতি করেছি। তাদের (ভোটার) আমি ভোট নিয়েছি তাদের শহর করে দেওয়ার জন্য। তাই তারা চাইলে আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত। আমার নাগরিকদের আমি কষ্ট দেব না। এতে আমি ফাঁসিতেও যেতে পারি, জেল হতে পারে, মৃত্যুবরণও করতে পারি। আমার নাগরিকেরা যেহেতু আমাকে ভালোবেসেছে, তাদের চোখের পানি আমি দেখেছি। সে হিসেবে আমি তাদের নিরাশ করব না।’
জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ মে। আগামী ২৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।