হত্যা মামলা ধামাচাপার চেষ্টা, ইউপি চেয়ারম্যান ও তিন সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
আপস–অযোগ্য হত্যা মামলা সালিসের মাধ্যমে ধামাচাপার চেষ্টার অভিযোগে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চার জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাঁদের মধ্যে একজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও বাকি তিনজন সদস্য। স্থানীয় সরকার বিভাগের এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল বুধবার মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান গত মঙ্গলবার এই সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যনগর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রাণগোপাল চৌধুরী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুমন চন্দ্র বর্মণ ও একই উপজেলার চামরদানী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল ইসলাম আপস–অযোগ্য একটি হত্যা মামলা অফিশিয়াল সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯–এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী কেন তাঁদের পদ থেকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
সাময়িক বরখাস্তসংক্রান্ত একটি চিঠি আসার কথা শুনলেও সেটি এখনো পাননি বলে জানিয়েছেন মধ্যনগর ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, একটি হত্যা মামলার বাদী ও বিবাদীপক্ষ মিলে আপস-আলোচনায় তিনিসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এই আপসনামায় কোনো মতামত ও সিল-স্বাক্ষর তাঁরা দেননি। এ ছাড়া এতে এলাকার গণমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি তাঁরা আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন।
ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যনগর ইউপির চেয়ারম্যান ও তিন সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি তিনি পেয়েছেন। এতে কেন তাঁদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে না, চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।