আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন মামুনুল হক
কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিন পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ২৫ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য তারিখে উপস্থিত না থাকায় আদালত আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে শুনানি শেষে এক হাজার টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, অসুস্থ থাকায় ধার্য তারিখে উপস্থিত হতে না পারায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে শুনানি শেষে মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত আসামি মামুনুল হককে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রতি ধার্য তারিখে হাজির থাকতে হবে। আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন জানালে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুলকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রয়েল রিসোর্ট–কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বাদীসহ ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।