রায়পুরায় প্রতিপক্ষের পিটুনিতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় সংঘর্ষে সুমন মিয়া নামের এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল পাড়াতলী ইউনিয়নের মীরেরকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুমন মিয়া উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমন ছাড়াও আরও দুজন প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী লড়ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া ও আবিদ হাসান রুবেল দুজনেই আজ চরাঞ্চলে সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন। পাড়াতলী এলাকায় তাঁরা মুখোমুখি হন। এ সময় আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থকেরা বিভিন্ন রকম কথা বলে সুমনকে উসকানি দেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সুমন গাড়ির ভেতর থেকে তাঁর লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি করলে আবিদের একজন সমর্থকের হাতে গুলি লাগে। এতে আবিদের বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা সুমনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি পিটুনি দেন।
সুমন মিয়াকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ও তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। মুখমণ্ডলে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্নও ছিল।
ওই অবস্থায় কোনোরকমে ঘটনাস্থল থেকে পালান সুমন মিয়া। পরে খবর পেয়ে বিকেলে রায়পুরা থানা-পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সোয়া ছয়টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান নুরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সুমন মিয়াকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত ও তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। মুখমণ্ডলে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্নও ছিল।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন জানান, গণসংযোগ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। তাঁর লাশ রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে।