নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ, বাবা, মা ও মেয়ে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লা এলাকায় গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণে নারীসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ এক নারীকে রাজধানীতে অবস্থিত জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার ভোর চারটার দিকে তল্লা বড় মসজিদ এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ (৬০), তাঁর স্ত্রী রুনা আক্তার (৪০) এবং মেয়ে মিম (১৭)। বিস্ফোরণে রুনা আক্তারের শরীরের ৬২ শতাংশ, হারুন অর রশীদ ও মিমের শরীরের ১ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরগুনার আমতলী থানার চাউরা এলাকায়। হারুন অর রশীদ শহরের দ্বিগু বাবুর বাজারে মুদিদোকানে কাজ করেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শহরের তল্লা এলাকার মহসিন মিয়ার টিনশেড বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন হারুন অর রশীদ। সাহ্রির খাবার রান্না করার জন্য রান্নাঘরের দরজা খুলে অটো চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন রুনা আক্তার, তাঁর স্বামী হারুন অর রশিদ ও মেয়ে মিম।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, সিলিন্ডারের গ্যাস লাইন অথবা চুলার ছিদ্র থেকে রান্নাঘরে গ্যাস জমে ছিল। সাহ্রির সময় চুলা জ্বালাতে গেলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুনে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া বিস্ফোরণে ওই বাড়ির তেমন বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দগ্ধ তিনজনকে বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে রুনা আক্তারের শরীরের ৬২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, রুনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।