নাটোরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ যুবক আটক, আসামির তালিকায় স্বামীও

ধর্ষণপ্রতীকী ছবি

নাটোরে গৃহবধূকে ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে ছয় যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাটোরের সিংড়ায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই ছয় ব্যক্তিকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সিংড়ার একটি ইউনিয়ন যুবদল সদস্য নাজমুল হোসেন, রাকিব হোসেন, গোপাল চন্দ্র, মমিন হোসেন, মো. বুদ্দু ও শহিদুল ইসলাম। তাঁরা সবাই সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা।

সিংড়া থানা সূত্রে জানা যায়, সিংড়ার একটি গ্রামের বাসিন্দা তাঁর স্ত্রীকে টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজ করাতেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে আটক হওয়া রাকিব হোসেনের সঙ্গে ওই গৃহবধূর স্বামীর সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজের চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে রাকিব হোসেনের কাছে পৌঁছে দেন। রাকিব ওই গৃহবধূকে এক পোশাকশ্রমিকের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর রুহুল আমিন নামের এক যুবক একই স্থানে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। তিনি ওই গৃহবধূকে গোপাল চন্দ্র নামের এক গ্রাম পুলিশের হেফাজতে রেখে চলে যান। রাত দুইটার দিকে নাজমুল ইসলাম, মোমিন হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন হঠাৎ ওই ঘরে গিয়ে গোপাল চন্দ্র ও ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র অবস্থায় আটক করেন। তাঁরা তাঁদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন এবং মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ১০০ টাকার নন–জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে তাঁদের স্বাক্ষর নেন। পরে ওই গৃহবধূকে তুলে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে যান এবং ধর্ষণ করেন। ভোরে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তাঁর এক বন্ধু তাঁকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।

বুধবার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ দিনভর অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের আটক করে। রাত আটটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

আটক নাজমুল হোসেন সিংড়ার একটি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কাদির আলিম। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি, যদিও বিষয়টি ব্যক্তিগত, তবু এ ব্যাপারে মামলা হলে নাজমুলের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিংড়া থানার পরিদর্শক আকবর আলী বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আটজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজনকে ধরার চেষ্টা চলছে।