সিলেটে ফেসবুক লাইভে তরুণীকে হেনস্তার অভিযোগ
সিলেটে ফুটপাতে মুঠোফোনের সিম বিক্রি করা এক তরুণী (২৩) ফেসবুকে লাইভ করে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন। মারধর, লাঞ্ছিত ও ব্যবসায়িক জিনিসপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ এনে ওই তরুণী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ৩১ অক্টোবর রাতে সিলেটের শাহজালাল উপশহর এলাকায় হেনস্তার ঘটনা ঘটে। পরদিন বিকেলে ওই তরুণী দুজনের নাম উল্লেখ করে সিলেটের শাহপরান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকার মামুন আহমদ (৩০) ও শাহজালাল উপশহর এলাকার মিলাদ আহমদের (২৭) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মামুন আহমদ ‘আধুনিক টিভি’ নামের ফেসবুক পেজে লাইভ করে থাকেন।
পুলিশ বলছে, অভিযোগটি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তরুণীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে উপশহর এলাকায় তিনি সিম কার্ড বিক্রি করেন। কয়েক দিন ধরে মিলাদ তাঁকে ওই স্থানে বসে ব্যবসা না করার জন্য বলেন। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় মিলাদের পরামর্শে মামুন একটি ক্যামেরা নিয়ে সিম বিক্রির স্থানে যান। এ সময় মামুন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তরুণী প্রতিবাদ করলে মামুন তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় মিলাদ তাঁর ব্যবসার ছাতা ও চেয়ার পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেন। একপর্যায়ে ওই তরুণী গাড়িতে উঠতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কয়েকবার তাঁকে টানাহেঁচড়া করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এ সময় তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেন, ওই স্থানে ব্যবসা করতে দেখলে তাঁর মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপসহ বড় ধরনের ক্ষতি করবেন। পুরো ঘটনার ধারণ করা ভিডিও ‘আধুনিক টিভি’ নামের একটি ফেসবুক পেজে আপলোড করে তাঁর সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়।
ওই তরুণী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মানহানি, মারধর ও ব্যবসায়িক জিনিসপত্র ভাঙচুরের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।’ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল হোসেন বলেন, অভিযোগটির তদন্তের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দু–এক দিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।