খুলনা মহানগর বিএনপির নেতারা বললেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো বেসামাল আচরণ করছে
খুলনা মহানগর বিএনপির নেতারা বলেছেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ভারতের তাঁবেদারির কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো বেসামাল আচরণ করছে। মিয়ানমার সীমান্তে আগ্রাসন-উত্তেজনা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। ভারতীয় সীমান্তেও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার আগে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের স্লোগান দেয়। ক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। তাই আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র প্রত্যাশা করা হাস্যকর।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা নগরের কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি খুলনায় সফল করার এই প্রস্তুতি সভায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম (মনা) সভাপতিত্ব করেন। মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলমের (তুহিন) সঞ্চালনায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, দেশের জনগণ দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচারের কারণে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে মুনাফাশিকারি লুটেরাদের হাতে। পণ্য পরিবহনে দুর্নীতি, হয়রানি ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। বাজারে অসৎ ব্যবসায়ী ও মুনাফাখোরদের একচেটিয়া প্রভাব কমানো না গেলে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
সভা থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে লিফলেট বিতরণ; ১৪ ফেব্রুয়ারি মহানগরের সব থানা, ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ এবং ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিহত বাংলাদেশিদের স্মরণে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উপস্থিত, রাত ১২টায় হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর মহিলা দলের সভাপতি বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ূন কবির, খালিশপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ জাহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মুরশিদ কামাল, খুলনা খানজাহান আলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান, খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান বিশ্বাস প্রমুখ।